প্রকাশিত: Sun, Mar 24, 2024 12:37 PM
আপডেট: Fri, May 9, 2025 1:20 PM

[১]আমরা দিল্লির অধীনস্থ হওয়ার জন্য যুদ্ধ করি নাই: মেজর হাফিজ

রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবক্রিম বলেছেন, ভারতের আনুগত্য নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ চালাচ্ছে। তাদের সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) যখন বিপদে পড়ে তখন বলেন যে, দিল্লি আছে আমরা আছি। এই ধরনের কথা বলতে লজ্জাবোধও তাদের হয় না। দিল্লি থাকলে এই সরকার আছে। কতখানি নির্লজ্জ প্রতিবেশী  দেশের আশ্রয়ে আনুগত্য স্বীকার করে যাচ্ছে।

[৩] তিনি বলেন, রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরে এসে আমরা কি দিল্লির অধীনস্থ হওয়ার জন্যই যুদ্ধ করেছি? কখনই না। বাংলাদেশের স্বাধীন চেতা মানুষ কখনোই এই ধরনের গোলামি মেনে নেবে না।

[৪] শনিবার (২৩ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মেজর (অব.) হাফিজ। অরক্ষিত স্বাধীনতা, মানবাধিকার, গণতন্ত্রবিহীন ও বিপন্ন বাংলাদেশ এবং আমাদের করণীয় শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

[৫] হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতার মূল্যবোধকে উজ্জীবিত করার জন্যে, স্বাধীনতার লক্ষ্যসমূহকে বাস্তবায়ন করার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিএনপির সংগ্রাম জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পাবার সংগ্রাম, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে সংগ্রাম।

[৬] তিনি আক্ষেপ করে বলেন, তার (শেখ মুজিবুর রহমান) অনেক কৃতিত্ব আছে। কিন্তু একজন সৈনিক চট্টগ্রাম থেকে জীবন বিপন্ন করে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে এই কৃতিত্ব আপনাকে দিতে হবে। এটুকু কৃতিত্ব অন্যকে দিতে কেনো এতো অপরাগতা? কেনো বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানি এজেন্ট বলে প্রমাণ করতে চায়? তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। অবাক হয়ে ভাবি কিভাবে দেশটা নষ্ট হয়ে গেলো।

[৭] বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা ক্ষমতায় নেই এতো বছর এই জিনিসপত্রের দাম নাকি বিএনপি বাড়াচ্ছে তাদের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য। আমিও বাণিজ্য মন্ত্রী ছিলাম বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের শেষ ছয় মাস। চেষ্টা করেছি বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে। ওই সময় বাজার দর মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিলো। আমরা জনগণকে খেজুরের বদলে বরই খাওয়ার উপদেশ দেইনি। 

[৮] মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সাহাবুদ্দিন রেজার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তথ্য ও গবেষণা বিষক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী